ঢাকা , শনিবার, ২৪ মে ২০২৫ , ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চাকরি ছেড়েও বেতন উত্তোলন, তথ্য চাইতে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার সহকারী শিক্ষক মজিবরের।


আপডেট সময় : ২০২৫-০৫-২৪ ১৮:০৫:৪২
চাকরি ছেড়েও বেতন উত্তোলন, তথ্য চাইতে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার সহকারী শিক্ষক মজিবরের। চাকরি ছেড়েও বেতন উত্তোলন, তথ্য চাইতে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার সহকারী শিক্ষক মজিবরের।
 
 
রানা ইসলাম বদরগঞ্জ রংপুর : রংপুরে বদরগঞ্জে মাদ্রাসা সহকারী এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ঐ শিক্ষকের নাম মজিবর রহমান। তিনি উপজেলা রামনাথপুর ইউনিয়ন বোরহান উলুম দাখিল মাদ্রাসার সহকারী আরবী শিক্ষক।শনিবার ২৪ মে মাদ্রাসা যেয়ে তথ্য চাওয়ায় মজিবর রহমান নামে এক শিক্ষক সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে তেড়ে এসে উত্তেজিত হন। এবং ছবি তুলতে বাধা দেন।

 
এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের অভিযোগে জানা গেছে, বোরহান উলুম দাখিল মাদ্রাসা বাংলা বিভাগের শিক্ষক মোজাম্মেল হোসেন গত বছরের সেপ্টেম্বরে চাকরিতে যোগদান করেন। তার বাড়ি পঞ্চগড় জেলায়। কিন্তু তিনি যোগদানের পর দুই মাস ঐ মাদ্রাসায় অনিয়মিত ভাবে পাঠদান করান। এরপর মোজাম্মেল হোসেন মাদ্রাসার শিক্ষকতা ছেড়ে পঞ্চগড় জেলায় গ্রামীণ ব্যাংকের একটি শাখায় অফিসার পদে চাকরি পেয়ে যান। সেখানে মাদ্রাসার চেয়ে বেতন বেশি হওয়ায় তিনি আর বদরগঞ্জে ঐ মাদ্রাসায় ফেরেননা।মাদ্রাসায় না ফেরায় মোজাম্মেল হোসেনের বেতনের চেক বই সই করে দিয়ে যান।


বিষয়টি মাদ্রাসার সুপার থেকে সহকারী শিক্ষকরা মোজাম্মেল হোসেন বিষয়টি গোপন রাখেন। এরপর মোজাম্মেল হোসেনের নিয়মিত মাসিক বেতন তুলে ঐ মাদ্রাসার শিক্ষক মজিবর রহমান, আনোয়ার হোসেনসহ আরো কয়েকজন শিক্ষক। সেই বেতনের টাকা তুলে ভাগ বাটোয়ারা করে নিজেদের পকেটে রেখে দেন। এমন জালিয়াতি চিটিং তথ্য পাওয়ার পর সাংবাদিকরা ঐ মাদ্রাসা যেয়ে তথ্য চাইতে গেলে সহকারী শিক্ষক মজিবর রহমান ক্যামেরার সামনে উত্তেজিত হয়ে তেড়ে এসে ক্যামেরায় হাত দেন ছবি না তোলার জন্য।


এসময় মজিবর রহমান ক্ষুদ্ধ হয়ে বলেন, মোজাম্মেল মাদ্রাসা চাকরি ছেড়ে চলে গেছে অন্য জায়গায়। তার বেতন তোলার জন্য চেকবই সই করে দিয়ে গেছেন আমাদের। এটা আমাদের মাদ্রাসার বিষয় আপনাদের কি।

 
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে মোজাম্মেল হোসেন বাংলা পদে শিক্ষক ছিলেন। এখন মজিবুর রহমান বাড়তি ক্লাস হিসেবে বাংলা পাঠদান করানোর জন্য ।অতিরিক্ত টাকা ঐ শিক্ষকের বেতন থেকে নিজের পকেটে রাখেন।

 
নাম প্রকাশ না করার শর্তেে বোরহান উলুম দাখিল মাদ্রাসা তিন জন শিক্ষক বলেন, মজিবর রহমান ও আনোয়ার নামে এই দুই শিক্ষক মাদ্রাসা যত দূনীতি সঙ্গে জড়িত।বিষয়টি আমরা ইউএনও স্যারের সু দৃষ্টি কামনা করছি। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নেওয়ার জন্য। 

 
বোরহান উলুম দাখিল মাদ্রাসা সভাপতি পদে দায়িত্ব আছেন বাংলার হাট দাখিল মাদ্রাসা সহকারী সুপার এরশাদ মিয়া তিনি সাংবাদিকে বলেন, মজিবর রহমান একজন জামাত নেতা।তার বয়স হয়েছে। এজন্য তিনি এরকম।

 
এবিষয়ে মাদ্রাসা সুপার মেনহাজুল ইসলাম বলেন, শিক্ষক মোজাম্মেল হোসেন যখন যোগদান করেন তখন আমি অসুস্থ ছিলাম। তখন দায়িত্বে ছিল সহকারী সুপার সেকেন্দার আলী। 

 
সেকেন্দার আলী বলেন, আমরা দুই মাস আগে ঐ শিক্ষকের বেতন স্থগিত করে রেখেছি। আর ওনার বেতনের একটাকাও আমি চোখে দেখে নি।

 
বদরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকতা এইচএম মাহাবুবুল ইসলাম বলেন, ঐ মাদ্রাসাএকজন শিক্ষক চাকরি করেনা অথচ বেতন তুলছেন অন্য শিক্ষকরা।বিষয়টি আমি আপনাদের কাছে এই প্রথম শুনলাম। 

 
বদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা মিজানুর রহমান বলেন, এ সম্পর্কে আমাকে কেউ বলেনি।আমি মাদ্রাসা বিষয়টি  খোঁজ নিয়ে দোষী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে  আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।





 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ